,

বাহুবলে আন্দোলরত চা শ্রমিকদের সাফ কথা :: প্রধানমন্ত্রীর আশ্বাস ছাড়া কাজে ফিরবো না

বাহুবল প্রতিনিধি : বাহুবলে আন্দোলনের মাঠ ছাড়তে অনড় চা শ্রমিকদের সাফ কর কথা, “প্রধানমন্ত্রীর আশ্বাস ছাড়া অন্য কারো কথায় কাজে ফিরবো না।” কর্মবিরতির ১৪তম দিনে সোমবার সকাল ১০টা থেকে রশিদপুর প্রাইমারী স্কুল মাঠে উপজেলার রশিদপুর, রামপুর, চিতলাছড়া, বালুছড়া চা বাগানের শ্রমিকরা মিলিত হয়ে বিক্ষোভ করে। সেটা দুপুর ২টা পর্যন্ত চলে। বিক্ষোভ চলাকালে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মহুয়া শারমিন ফাতেমা ও বাহুবল মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ রকিবুল ইসলাম খান সেখানে যান। পরে বিক্ষুব্ধ শ্রমিকদের বুঝিয়ে কাজে যোগদানের অনুরোধ জানালেও শ্রমিকরা আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার পক্ষে অনড় থাকার কথা জানায়।

বিক্ষোভ চলাকালে শ্রমিকদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- রশিদপুর চা বাগান পঞ্চায়েতের সভাপতি নিপেন চাষা, শ্রমিক নেতা বাবলু গোয়ালা, তপন আচার্য্য, দক্ষিণ রামপুর চা বাগানের নেতা চম্পা লাল, চিতলাছড়া চা বাগানের নেতা বাবু লাল, রায়মনি চাষা, লাচিয়া দাশ প্রমুখ।

বক্তারা বলেন, “মজুরি বৃদ্ধির দাবিতে আজ ১৪ দিন ধরে আন্দোলন করে যাচ্ছি কিন্তু এখন পর্যন্ত কোন নির্ভরযোগ্য আশ্বাস পাইনি। গতকাল (রবিবার) রাতে মৌলভীবাজার জেলা প্রশাসকের বরাত দিয়ে যৌথ বিবৃতির একটি চিঠি প্রচার হচ্ছে সেখানে আমাদের চা শ্রমিক ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় সভাপতি মাখন লাল কর্মকারের কোন স্বাক্ষর দেখছি না। তাতে মনে হচ্ছে আমাদের সভাপতি এই বিবৃতির সাথে একমত নন। তারা আরো বলেন, একমাত্র মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্বয়ং সরাসরি কিংবা ভিডিও কনফারেন্সে আমাদেরকে ৫০ টাকা মজুরিতেও কাজে ফিরতে বললে আমরা আন্দোলন স্থগিত করে কাজে যাবো। এছাড়া অন্য কারো আশ্বাসে আমরা কাজে ফিরবো না।”

জানা যায়, গত ২০ আগস্ট মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল উপজেলায় বিভাগীয় শ্রম দপ্তরের কার্যালয়ে চা শ্রমিক ইউনিয়নের নেতৃবৃন্দ ও সরকারের প্রতিনিধিদের সভা অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে নতুন মজুরি নির্ধারণ করা হয় ১৪৫ টাকা। এরপর চলমান কর্মবিরতি প্রত্যাহার করার কথা জানান চা শ্রমিক নেতারা। কিন্তু সভা থেকে বের হয়ে সাধারণ চা শ্রমিকদের রোষানলে পড়ে এই সিদ্ধান্ত থেকে বেরিয়ে আসে চা শ্রমিক ইউনিয়ন।


     এই বিভাগের আরো খবর